শিশুমৃত্যুর হার কমাতে অনেক দিন ধরেই চিকিত্সকরা নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তবে নতুন এক গবেষণায় চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সম্ভাব্য মা কীভাবে ঘুমাচ্ছেন তার ওপর নবজাতকের স্বাস্থ্যের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মৃত সন্তান প্রসবরোধে সন্তানসম্ভবা নারীদেরকে একপাশে কাত হয়ে শোওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্তত গর্ভধারণ কালের শেষ তিন মাস সম্ভাব্য মায়েদের এভাবেই ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিত্সকরা। ব্রিটেনের প্রায় এক হাজার নারীর ওপর চালানো এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পিঠের ওপর চিত্ হয়ে ঘুমালে মৃত শিশু জন্মদানের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ব্রিটিশ জার্নাল অব অবসটেট্রিক্স এন্ড গাইনোকলজি এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে।
***গবেষণায় ২৯১ জন গর্ভবতী নারীর ওপর নজর রাখা হয়েছিল যারা মৃত শিশুর জন্ম দিয়েছেন এবং ৭৩৫ জন নারী জীবিত শিশুর জন্ম দিয়েছেন। এই সমীক্ষার পর গবেষকরা বলছেন, নবজাতকের স্বাস্থ্যের সাথে সম্ভাব্য মা কীভাবে ঘুমাচ্ছেন তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং ঘুমানোর এই ভঙ্গিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে তারা এও বলছেন, ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সন্তানসম্ভবা নারী যদি দেখেন যে, তারা তাদের পিঠের ওপর চিত্ হয়ে শুয়ে আছেন তাহলে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়।
***যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২২৫টি গর্ভধারণের ক্ষেত্রে একটি মৃত শিশুর জন্ম হয়। বলা হচ্ছে, সন্তানসম্ভাব্য মা যদি একপাশে কাত হয়ে ঘুমাতে যান তাহলে বছরে ১৩০টির মত নবজাতকের জীবন রক্ষা করা সম্ভব। গবেষকদের ধারণা, নারীরা যখন পিঠের উপর শুয়ে থাকেন তখন শিশু এবং গর্ভাশয় এই দুটোর মোট ওজন রক্তনালীগুলোর ওপর চাপ তৈরি করে। এর ফলে গর্ভস্থ শিশুর শরীরে রক্ত এবং অক্সিজেনের প্রবাহ ব্যাহত হতে পারে। চিত হয়ে শোয়া বন্ধ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় পিঠের পেছনে কয়েকটি বালিশ রাখলে সুবিধা হবে।