আপনাদের জন্য এখন দেওয়া হচ্ছে একটি রেসিপিগুচ্ছ। এটি হলো শীতের পিঠার রেসিপি। দেখে নিন শীতের ১৬টি মজার পিঠার রেসিপি।
রসে টইটম্বুর
উপকরণ:
তরল দুধ ২ কাপ,
ঘি ১ টেবিল চামচ,
ডিম ৩টি,
সুজি ১ কাপ,
লবণ সিকি চা-চামচ,
চিনি দেড় কাপ,
ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো
পানি দেড় কাপ।
প্রণালি:
তরল দুধের সঙ্গে ঘি ও গুঁড়া দুধ একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে যখন ফুটে উঠবে, তখন আস্তে আস্তে সুজি দিয়ে নাড়ুন। যখন সুজি হালুয়ার মতো হবে, তখন একটা একটা করে ডিম ভেঙে দিয়ে নাড়তে হবে। এতে মোলায়েম ডো তৈরি হবে।
এবার চুলা থেকে নামিয়ে হালকা গরম অবস্থায় ভালোভাবে ময়ান দিতে হবে। প্রয়োজনে হাতে একটু ঘি মাখিয়ে নিন। এখন গোল করে পিঠা বানিয়ে গরম তেলে বাদামি করে ভেজে সিরায় ভিজিয়ে নিন। পিঠা ভালোভাবে ভিজে গেলে তুলে থালায় সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
মাওয়ার গজা
উপকরণ:
ময়দা ২ কাপ,
মুগডাল আধা কাপ,
নারকেল কোরা ২ টেবিল চামচ,
আলু সেদ্ধ আধা কাপ,
সয়াবিন তেল (ভাজার জন্য) প্রয়োজনমতো,
মাওয়া (গ্রেট করা) প্রয়োজনমতো,
ঘি ১ টেবিল চামচ,
লবণ সিকি চা-চামচ,
চিনি ২ কাপ,
পানি দেড় কাপ
ঘি ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি:
চিনি ও পানি একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে সিরা বানিয়ে ঘি দিয়ে নামিয়ে নিন। মুগডাল হালকা ভেজে সামান্য লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে পানি শুকিয়ে নিন। আলু সেদ্ধ করে গ্রেট করে ময়ান দিন। ২ কাপ পানি সিকি চা-চামচ লবণ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার ২ কাপ ময়দা দিয়ে সেদ্ধ করে ২ মিনিট চুলার ওপর ঢেকে রাখতে হবে মৃদু আঁচে। সেদ্ধ ময়দা ভালোভাবে ময়ান দিয়ে নিতে হবে। এবার ময়দার সঙ্গে সেদ্ধ মুগডাল, আলু, নারকেল কোরা ভালোভাবে ময়ান দিয়ে মোলায়েম ডো বানান। ডো দিয়ে সিকি ইঞ্চি পুরু রুটি বেলে চারকোনা করে (৩ x ৩ ইঞ্চি) কেটে নিতে হবে। একটি পিঠার জন্য দুটি করে ওই মাপের রুটি লাগবে।
এবার একটি রুটির মধ্যে মাওয়া গ্রেট করে দিন। আরেকটি রুটি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি দিয়ে চাপ দিয়ে চারপাশ বন্ধ করে কাঁটা চামচের দাগ দিয়ে নকশা করে নিতে হবে। ওপরে হালকা করে কাটা (X) চিহ্নের মতো দাগ দিন। এখন তেলে বাদামি করে ভেজে ঠান্ডা রসে ডুবিয়ে নিন। ২ মিনিট পর তুলে সুইট বল দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন।
দুধ খেজুর
উপকরণ:
১.
তরল দুধ ৩ কাপ,
পিঠার ডো ডিম ২টি,
ঘি ১ টেবিল চামচ,
ময়দা আড়াই কাপ
সয়াবিন তেল (ভাজার জন্য) প্রয়োজনমতো।
সিরার জন্য:
তরল দুধ ৪ কাপ,
চিনি আধা কাপ,
খেজুরের গুড় আধা কাপ
চিনি আধা কাপ।
প্রণালি
১. একটি পাত্রে ৩ কাপ দুধ দিয়ে তার মধ্যে ২টি ডিম ভেঙে দিয়ে চুলার ওপর রেখে ডাল-ঘুঁটনি দিয়ে খুব ভালোভাবে ফেটে ঘি দিন। যখন বলক আসবে, তখন ময়দা দিয়ে মোলায়েম ডো বানান। ভালোভাবে ময়ান দিন। এবার চমচমের আকারে বানিয়ে বেতের চালনির ওপর চাপ দিতে হবে। এতে ডোতে চালনির ছাপ পড়ে যাবে। এখন ভাঁজ করে দুই মুখ ভালোভাবে আটকে দিন। এভাবে সব পিঠা বানানো হলে ডুবোতেলে ভেজে ঠান্ডা দুধের সিরায় দিয়ে দিন। একটু পর ট্রেতে উঠিয়ে নিন। এভাবে সব পিঠা বানানোর পর ঘন দুধ ও মালাই দিয়ে পরিবেশন করুন।
২. সিরা বানানোর জন্য ৪ কাপ দুধ ও আধা কাপ চিনি দিন। চিনি গলে গেলে দুধ চুলা থেকে নামিয়ে গুড় দিতে হবে। এতে দুধ ফেটে যাবে না।
ঝিনুক পিঠা
উপকরণ
ডিম ২টি,
চিনি ১ কাপ,
তেল ১ কাপের চার ভাগের তিন ভাগ,
ময়দা ৩ কাপ,
সুজি সিকি কাপ,
ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো
লবণ ১ চা-চামচ।
প্রণালি
প্রথমে ডিম ফেটে তাতে চিনি দিন। আবার ফেটে নিন। এবার তেল ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে ফেটে ময়দা ও সুজি মিশিয়ে খামির বানান। রুটির খামিরের চেয়ে একটু নরম হতে হবে। ছোট ছোট গোল বল বানিয়ে নতুন চিরুনিতে তেল মাখিয়ে আঙুল দিয়ে চেপে ঝিনুকের মতো করে পেঁচিয়ে ঝিনুক পিঠা বানাতে হবে। এভাবে বেশ কিছু পিঠা বানানোর পর হালকা জ্বালে বাদামি করে তেলে ভেজে পরিবেশন করুন।
আলু পাকোন
উপকরণ
ময়দা ২ কাপ,
তরল দুধ ২ কাপ,
গুঁড়া দুধ সিকি কাপ,
ঘি (ময়দার ডোর জন্য) ১ টেবিল চামচ,
ঘি (ময়দা মাখানোর জন্য) ২ টেবিল চামচ,
সয়াবিন তেল (ভাজার জন্য) প্রয়োজনমতো,
চিনি (সিরার জন্য) ২ কাপ,
পানি ৩ কাপ,
এলাচ ও দারুচিনি ২টি,
লেবুর রস ১ চা-চামচ,
আলু সেদ্ধ আধা কাপ,
লবণ ১ চিমটি।
প্রণালি
দুধ চুলায় দিয়ে যখন ফুটে উঠবে, তখন গুঁড়া দুধ ও ঘি দিয়ে নেড়ে ময়দা দিন। ময়দা ভালোভাবে নেড়ে সেদ্ধ করে মোলায়েম ডো বানাতে হবে। আলু সেদ্ধ গ্রেট করে মিহিভাবে ভর্তা করে নিতে হবে। এবার ময়দার ডো ভালোভাবে ময়ান দিয়ে আবার আলু দিয়ে ময়ান দিতে হবে। এই ময়ানের সময় হাতে ঘি মেখে নিতে হবে। এতে মোলায়েম ডো হবে। ২ কাপ চিনি ও ১ কাপ পানি জ্বাল দিয়ে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে ময়দা কেটে নিন। ২টি এলাচ ও ১ টুকরা দারুচিনি দিয়ে রস জ্বাল দিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে রাখুন। এবার ময়দার ডো দিয়ে মোটা রুটি বানিয়ে ছাঁচ দিয়ে কেটে নিন। এখন গরম তেলে বাদামি করে ভেজে ঠান্ডা সিরায় চোবান। ১০ মিনিট পর পিঠা যখন সিরার কারণে দ্বিগুণ আকারের হয়ে যাবে, তখন পিঠাগুলো সিরা থেকে তুলে প্লেটে সাজিয়ে নিন। অল্প সিরা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
প্লেইন গজা
উপকরণ:
ময়দা – ১ কাপ
সুজি – ১/৪ কাপ( ইচ্ছা ) ( সুজি বেটে বা ব্লেন্ডারে মিহি করে নিতে হবে।)
তেল -২ টে চা ( গরম করা)
পানি – পরিমান মত। প্রায় ১/৪ কাপ (সুজি না দিলে পানির পরিমান কম হবে।
লবন – ১ চিমটা।
পুর:
বাটার/ ঘি – ৩ টে চামচ
সিরা:
চিনি – ৩/৪ কাপ চিনি
পানি- ১/২ কাপ
বা পাউডার সুগার -সামান্য।
প্রস্তুত প্রনালী:
১) ময়দ, সুজি, ও লবন একসাথে মিশায়ে তাতে গরম তেল দিয়ে ময়ান দিয়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।
২) এবার পরিমান মত পানি দিয়ে রুটির মত খামির করে ভিজা কাপড় বা প্লাস্টিক রেপে দিয়ে মোড়ায়ে দেড় থেকে দুই ঘন্টা রেখে দিতে হবে।
সিরা:
চিনি ও পানি একসাথে জাল দিয়ে এক তারের সিরা বানাতে হবে।(৫-৬ মিনিট লাগবে)
৩) খামির দিয়ে ৩ টা বা ৬ টা রুটি পাতলা রুটি বানাতে হবে।
৪) এবার একটি রুটি নিয়ে তার উপর বাটার লাগায়ে নিতে হবে। এবার বাটারের উপর ময়দা ছিটায়ে দিতে হবে। তার উপর আর একটা রুটি দিয়ে আবার বাটার ও চালের গুঁড়ি দেই।এইভাবে তিনটা রুটি পরপর করতে হবে।এবার কিনারা ধরে রোল করে নিতে হবে। এবার রোলটাকে সামান্য আড়াআড়ী ভাবে টুকরা টুকরা করে নিতে হবে।
৫) টুকরা গুলোকে হাত দিয়ে একটু চ্যাপটা করে নিতে হবে।বা বেলুন দিয়ে সামান্য বেলে নিতে হবে।
৬) মধ্যম গরম তেলে সুন্দর বাদামী রংগের করে ভেজে নিতে হবে।
৭) এবার সিরায় দিয়ে বা লাগায়ে বা পাউডার সুগার লাগায়ে পরিবেশন করুন দারুন মজার গজা।
ছাইন্না পিঠা
উপকরণ:
চালের গুঁড়া ১ কাপ
গুড় ১ কাপ
নারকেল কুড়োনো ১ কাপ
লবণ ১/৩ চা চামচ
পানি ২ কাপ
ঘি সামান্য।
প্রণালী:
প্রথমে একটি হাড়িতে ২ কাপ পানিতে ১ কাপ গুড় দিয়ে জ্বাল দিয়ে বল্গ আসলে তাতে চালের গুঁড়া, লবণ এবং নারকেল কুড়োনো দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে চুলা বন্ধ করে ১/২ ঘন্টা ঢেকে রাখতে হবে।
এবার হাতে ঘি মাখিয়ে মিশ্রণটির ময়ান বানিয়ে পছন্দের আকারে গড়ে নিয়ে গরম পানির উপর স্টিমার বসিয়ে সবগুলো পিঠা স্টিম করতে হবে ২০ মিনিট, ঠান্ডা হয়ে এলে পরিবেশন করুন।
পাকন পিঠা
উপকরণ:
– ২ কাপ তরল দুধ
– ২ কাপ চালের গুঁড়ো
– এক চিমটি লবণ
শিরার জন্য:
– ২ কাপ চিনি
– ৪ কাপ পানি
প্রণালী:
১) একটি সসপ্যানে দুধ গরম হতে দিন। এতে লবণ দিন অল্প করে। দুধ ফুটে এলে সাথে সাথেই এতে চালের গুঁড়ো দিয়ে দিন। চালের গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন এবং খুবই কম আঁচে রাখুন ৫ মিনিট। এরপর নামিয়ে নিন। মিশ্রণটি শুকনো শুকনো হবে।
২) এই ফাঁকে শিরা তৈরি করে নিন। পানি ও চিনি একসাথে মিশিয়ে ৫-৭ মিনিট বেশি আঁচে ফুটিয়ে নিন। একটু পাতলা শিরা হবে।
৩) চালের গুঁড়োর খামিরটা তৈরি করে নিন এবার। ডিম আলাদা করে ফেটে নিয়ে একটু একটু করে মিশিয়ে নিন খামিরের সাথে, একেবারে পুরোটা দিয়ে দেবেন না। এর সাথে ঘিও দিয়ে দিন। দেখবেন ঘিটা যেন বেশি সফট না হয়। ছোট ছোট ছাঁচ বা কুকি কাটার দিয়ে পিঠা গড়ে নিন। একসাথে সবগুলো পিঠা তৈরি করে এরপর ভাজতে হবে।
৪) ডুবোতেলে ভাজার জন্য তেল গরম করে নিন। পিঠা একপাশ লালচে সোনালি করে ভাজুন এরপর উলটে দিন। দুইপাশে লালচে হয়ে এলে নামিয়ে নিন। তেল থেকে উঠিয়ে সরাসরিও শিরায় দিতে পারেন। পিঠা শিরায় দিয়ে ২-৩ ঘন্টা পর্যন্ত ঢেকে রাখুন। ইচ্ছে করলে দুধ জ্বাল দিয়ে তাতে ভিজিয়েও তৈরি করতে পারেন এই পিঠা।
দুধ পুলি পিঠা
উপকরনঃ
খামিরঃ
চালের গুঁড়া দেড় কাপ
পানি ২ কাপ
লবণ পরিমাণমতো।
উপকরণ পুরের জন্য :
নারিকেল কোরানো ২ কাপ
লবঙ্গ ৩/৪টি
ময়দা ১ টেবিল চামচ
গুড় ১ কাপ
এলাচ ৩/৪টি
উপকরণ খিরার জন্য :
দুধ ২ লিটার
গুড় ১/২ কাপ
চিনি ১/২ কাপ
লবণ ১ চিমটি
প্রনালিঃ
স্টেপ- ১
কড়াইতে পানি দিন। পানি ভাল মত ফুটে লবন ও চালের গুড়া দিয়ে ভাল করে নাড়ুন। নামিয়ে গরম অবস্থা টে হাতে একটু পানি লাগিয়ে ভাল মত খামির তৈরি করুন।
স্টেপ- ২
পিঠার সব উপকরণ একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে আঠা হয়ে এলে পরে ময়দা দিয়ে নাড়ুন। আঠালো হলে নামিয়ে দিন।
স্টেপ- ৩
খিরাঃ ২ লিটার দুধ কে জ্বাল দিয়ে ১ লিটার করুন। এখন খিরার বাকি উপকরণ গুলো দিয়ে নাড়ুন।
স্টেপ- ৪
খামির ছোট ছোট গোল করে খুরি আকার করে ভিতরে পুর দিয়ে কুলি বানান।
ফুটন্ত পানির হাঁড়ির মুখে বাঁশের চালুনির/ এল্মনিয়াম উপর কুলি রেখে ভাপে সিদ্ধ করতে হবে। সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে দিন।
স্টেপ- ৫
খিরার মধ্যে কুলি পিঠা গুলো দিয়ে কিছুক্ষন জ্বাল দিন। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।
নারকেলি মোমো পিঠা
উপকরণ:
কোরানো নারকেল ১ কাপ
খেজুর গুড় ১/২ কাপ বা ইচ্ছে অনুযায়ী
ঘি ১ চা চামচ
ময়দা বা আটা ২ কাপ
লবণ ১ চিমটি
কুসুম গরম পানি পরিমাণ মত
কর্ণফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ অপশানাল
প্রণালী:
প্রথমে কড়াই এ ঘি, গুড় ও কোরানো নারকেল দিয়ে ভালো মত ভেজে নিন। সুন্দর মত ঘ্রান বের হলে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। এবার আটা ও কর্ণফ্লাওয়ার সামান্য লবণ মিশিয়ে নিয়ে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে একটা মিডিয়াম শক্ত ডো বানিয়ে নিন। ঠিক রুটির ডো এর মত। একটা কাপড় দিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন।
৩০ মিনিট পর ৬ টা লেচি কেটে মোটামুটি বেশ পাতলা করে রুটি বেলে নিয়ে মিজার্মেন্ট কাপ মাপের সাইজের বাটিতে কেটে নিয়ে ভিতরে নারকেল পুর দিয়ে দুই হাতের সাহায্যে শাড়িতে কুচি দেয়ার মত করে নিয়ে পিঠার মুখ বন্ধ করে নিন। এবার একটা পাতিলে ১ লিটার মত পানি দিয়ে জাল দিন। পানি গরম হয়ে ফুটে উঠলে এর উপরে স্টিম ঝুরি বা প্লাস্টিক ঝুড়িতে তেল ব্রাশ করে পিঠাগুলো সাজিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন যেন একটার গায়ে আর একটা না লেগে যায়। এরপর মাঝারি হাই ফ্লেমে ১৫-২০ মিনিট স্টিম/সিদ্ধ করুন। ২০ মিনিট হয়ে সাবধানে তুলে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
তেলের পিঠা
উপকরণঃ
চালের গুঁড়া – ৩ কাপ
আটা- আধা কাপ
খেজুরের গুড়/চিনি ১ কাপ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
পানি ২ কাপ
লবন – ১ চিমটি
তেল- ডুবো তেলে ভাজার জন্য
প্রনালিঃ
পানি ও গুড়/চিনি একসাথে মিক্স করে হাল্কা গরম করে নামিয়ে ফেলুন। এখন মিশ্রণ এর সাথে চালের গুঁড়া,আটা ও লবণ ভালো করে উড়কি দিয়ে নাড়ুন।কড়াই তেল দিন।একটি বড় গোল চামচ নিয়ে মিশ্রণটি নেড়ে এক চামচ পরিমান মিশ্রণ গরম তেলে ছাড়ুন। কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে পিঠাটি ফুলে উঠবে। ফুলে উঠলে পিঠাটি উল্টে দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভেজে তেল থেকে তুলে ফেলুন।
গোলাপ পিঠা
উপকরণ:
দুধ ১ কাপ,
ময়দা ১ কাপ,
চিনি ১ কাপ,
পানি ১/২ কাপ,
লবণ ১/২ চা চামচ,
তেল পরিমাণমতো।
প্রণালী:
দুধ চুলায় জ্বাল দিয়ে বলক উঠলে তাতে চিনি এবং তেল দিয়ে নাড়ুন। এবার ডিম ও লবণ দিন। এর মধ্যে ময়দা দিয়ে নাড়ুন। নামিয়ে খামির সুন্দর করে মথে নিন। এবার রুটি বেলে গ্লাস দিয়ে গোল করে কেটে নিন। মোট ৩টি গোল করে কাটা রুটি একটির উপর আরেকটি রাখুন। মাঝখানে একটি আংগুল দিয়ে হালকা ভাবে চেপে নিন। এবার ছুরি দিয়ে ঐ চাপ দেওয়া জায়গাকে কেন্দ্র করে কোনাকুনি করে ৩টি ভাগ করুন। পরে এক ভাগ থেকে রুটি উঠিয়ে চাপ দেওয়া জায়গায় চেপে দিন। এভাবে যেখান থেকে শেষ হবে সেখান থেকে আরেকটি ভাগ উঠিয়ে তার বিপরীত দিকে চেপে দিবেন। বানানো হয়ে গেলে ডুবো তেলে ভাজবেন।
এবার চিনি ও পানি একসাথে জ্বাল দিয়ে সিরা বানিয়ে এতে গোলাপ পিঠা ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ পর উঠিয়ে পরিবেশন করুন। চাইলে সিরায় না ভিজিয়েও এমনিই খেতে পারেন।
কালার করার জন্য টিপস–
ময়দার সাথে দুধ মিশানোর আগেই ময়দা আলাদাভাবে ভাগ করে পছন্দমতো ফুড কালার মিশিয়ে নিবেন। একটি পিঠায় যদি কয়েক কালার করতে চান তাহলে ৩ টি রুটি ৩ কালার করবেন। একটি পাপড়ি কয়েক কালার করতে ২-৩ কালারের খামির একসাথে নিয়ে পাশাপাশি রেখে বেলে রুটি বানিয়ে নিন, এবার কেটে নিয়ে ডিজাইন করুন।
মালপোয়া পিঠা
উপকরণ :
-১/২ লিটার দুধ
-১ কাপ চিনি
-১ কাপ পানি
-১ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো
-জাফরান
-১/২ কাপ ময়দা
-১/২ কাপ দুধ
-১ টেবিল চা চামচ চিনির গুঁড়ো
-১ টেবিল চামচ ঘি
-১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা
প্রণালী :
১। প্রথমে একটি প্যানে এক লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে আধা লিটারে নিয়ে আসুন। ফুটন্ত দুধ আধা লিটার হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
২। আরেকটি পাত্রে সিরা তৈরির জন্য চিনি এবং পানি একসাথে জ্বাল দিন। সিরা ঘন হয়ে এলে চুলা নিভিয়ে ফেলুন।
৩। চিনির সিরার উপরে জাফরান এবং এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন।
৪। এরপর ঘন দুধের সাথে ময়দা ভাল করে মিশিয়ে নিন। এমনভাবে মেশাবেন যেন ময়দা দানা দানা না থাকে।
৫। দুধ এবং ময়দার মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে তাতে তরল দুধ ভাল করে মিশিয়ে নিন। পরে চিনির গুঁড়ো দিয়ে আবার মিশিয়ে নিন। এর সাথে বেকিং পাউডার ভাল করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন খুব বেশি ঘন না হয়।
৬। প্যান গরম হয়ে আসলে এতে ঘি দিয়ে দিন।
৭। এবার গরম তেলে মিশ্রণটি ছোট ছোট পিঠা আকারে ছেড়ে দিন।
৮। পিঠাগুলো ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে চিনির সিরায় কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।
৯। সবশেষে চিনির সিরা থেকে নামিয়ে মালপোয়া পিঠাগুলোর উপরে বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
গোকুল পিঠা
উপকরণ:
✿ কোড়ানো নারিকেল,
✿ গরুর দুধ,
✿ চিনি,
✿ তেজপাতা,
✿ দারুচিনি,
✿ এলাচ,
✿ কিচমিচ,
✿ লং ফড়িং ও
✿ ময়দা।
প্রণালী:
প্রথমে একটা পাত্রে পরিমান মত গরুর দুধ নিন। দুধের মধ্যে দারুচিনি, তেজপাতা, এলাচ, কিচমিচ ও পরিমান মত চিনি দিয়ে সামান্য ঘন করে আঁচ দিন। দুধ ঘন হয়ে আসলে চুলার আঁচ কমিয়ে মৃদু মৃদু তাপে দুধের পাত্রটি চুলার ওপর রেখে দিন বা চুলা থেকে নামিয়েও রাখতে পারেন।
অন্য পাত্রে সামান্য তেল দিয়ে তেলের ওপর দুইটা তেজপাতা, দারুচিনি এলাচ ও লবঙ্গ ছেড়ে দিন। তারপর কোড়ানো নারিকেল ও পরিমান মত চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। নারিকেল নাড়তে নাড়তে আঠা আঠা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। আরেকটি পাত্রে পরিমান মত ময়দা ঘন করে গুলিয়ে রাখুন।
তারপর পাত্রে পরিমান মত তেল দিয়ে চুলার আঁচ দিতে থাকুন। এখন জালানো নারিকেল হাত দিয়ে গোল গোল চ্যাপ্টা করে চপ এর মত করে গুলানো ময়দার প্রতিটি নারিকেলের চপ গুলো ময়দার মধ্যে চুবিয়ে তেলে ছেড়ে দিন বাদামী রঙ এ পিট অপিট ভেজে ঘন করা দুধের মধ্যে ছেড়ে দিন।
এক ঘন্টা পর দুধের পাত্রের ঢাকনা খুলে দেখবেন পিঠাগুলো দুধে ভিজানোর জন্য ফুলে ফুলে উঠেছে। তৈরী হয়ে গেলো হয়ে গেলো দারুন স্বাদের গোকুল পিঠা।
দুধ চিতই পিঠা
উপকরনঃ
আতপ চালের গুড়া তিন কাপ
খেজুরের গুড় ১ কেজি/ খেজুরের রস দেড় কেজি
দুধ ২ লিটার
পানি ১ লিটার
নারকেল ১ কাপ
পরিমান মতো লবন
প্রণালীঃ
স্টেপ- ১
পাত্রে পানি, দুধ ও গুড় জাল দিয়ে ঢেকে রখুন।
স্টেপ- ২
এবার পরিমানমতো পানি চালের গুড়া, ১/২ কাপ নারকেল ও সামান্য লবন মিশিয়ে মাঝারি ঘনত্বের গোলা বানিয়ে নিন। গোলা চুলায় দিন। ভাল করে নাড়ুন। গরম হয়ে ধোঁয়া উঠলে নামিয়ে দিন।
স্টেপ-৩
পিঠা গুলো তৈরি করবার জন্য মাটির খোলা বা লোহার ছাঁচ ব্যবহার করুন।ছাঁচে তেল দিয়ে মুছে মুছে চালের গুড়োর গোলা ঢেলে দিন। বুতবুত উঠলে ঢেকে দিন। কিছুক্ষন পরে পিঠাগুলো উঠিয়ে গরম রসের মধ্যে দিয়ে ঢেকে রাখুন।
সারা রাত এভাবেই ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে পরিবেশন করুন।
শাহি ভাপা পিঠা
উপকরণ :
সিদ্ধ চালের গুঁড়া ১ কাপ,
পোলাও চালের গুঁড়া ১ কাপ,
ঘন দুধের ক্ষীর ১ কাপ,
কিশমিশ ২ টেবিল চামচ,
পেস্তাবাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ,
কাঠবাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ,
কাজু কুচি ২ টেবিল চামচ,
চেরি কুচি ২ টেবিল চামচ,
নারিকেল কোরা কোয়ার্টার কাপ,
এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ,
লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি :
চাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে গুঁড়া করে নিন। ২ রকম চালের গুঁড়া, এলাচ গুঁড়া ও লবণ একসঙ্গে মেখে নিন। পানির ছিটা দিয়ে ঝুরঝুরে করে বাঁশের চালনিতে চেলে নিন। ভাপা পিঠা বানানোর হাঁড়িতে পানি দিন। মুখ ছিদ্র ঢাকনা বসিয়ে চারদিক আটা দিয়ে আটকে দিয়ে চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিন। পাতলা সুতির ১ টুকরা কাপড় ও অপেক্ষাকৃত বড় সাইজের (ভাপা পিঠার বাটি থেকে একটু বড় বাটি) ২টি বাটি নিন। বাটিতে প্রথমে চালের গুঁড়া, দুধের ক্ষীর, বাদামের মিশ্রণ, আবার চালের গুঁড়া এভাবে ২ স্তরে সাজিয়ে নিন। ভেজা কাপড়ের টুকরা দিয়ে পিঠা ঢেকে মুখ ছিদ্র ঢাকনার ওপর দিয়ে ঢেকে দিন। এ পিঠা হতে একটু বেশি সময় লাগবে।