ডিম এক আশ্চর্য খাদ্য। ভেজে খাও বা সেদ্ধ করে— রসনায় যেন উৎসবের আবহ। নাই বা হল, ইলিশ-পাঁঠা, নামমাত্র খরচে ডিমেই জমে যেতে পারে আপনার ‘বোরিং’ লাঞ্চ বা ডিনার। একে তো খেতে ভাল, আবার তার পুষ্টিগুণও দারুণ। অন্তত এতকাল তো সেটাই জানা ছিল। কিন্তু মার্কিন গবেষকরা যা জানাচ্ছেন, তাতে কপালে ভাঁজ পড়তেই পারে ডিম-প্রেমীদের।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ওয়াশিংটনের ‘সেন্টার ফর ডায়ামিক্স, ইকনোমিক্স অ্যান্ড পলিসি’-এর কয়েক জন গবেষকের দাবি, অ্যান্টি বায়োটিক ওষুধ খাওয়ানোর ফলে মুরগির মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাচ্ছে। গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, মুরগির ডিমে ওই অ্যান্টি বায়োটিক রয়ে যাচ্ছে। এর ফলে মুরগির ডিম খেলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিঘ্নিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকছে। খুব বেশি পরিমাণে সেই ধরনের ডিম খেলে ক্ষতি আরও বাড়তে পারে বলেই গবেষকদের ধারণা।
সাধারণ ভাবে ডিম এমন এক খাদ্য, যার দাম অনেকটা কম। অথচ উপকারিতা অনেক বেশি। সোজা কথায় ‘সস্তায় পুষ্টি’। গবেষকদের এই নতুন দাবির পরে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নটা উঠে যাচ্ছে। ডিমের ভবিষ্যৎ কি তার আকারের মতোই শূন্য হয়ে যাবে? তবে তার দোষ মুরগি বা ডিমের উপরে বর্তাবে না। কিছু মুনাফালোভী মানুষের অপরিণামদর্শিতাই দায়ী থাকবে ডিম তার কুর্সি হারালে।