বয়স বাড়াকে আটকানো না গেলেও, শরীরে বয়সের ছাপ পড়াকে আটকানোর উপায় আছে।
সুকুমার রায়ের ‘হযবরল’-এর সেই অমর উক্তি মনে করুন। ‘কোনোদিন দেখব বয়স বাড়তে বাড়তে একেবারে ষাট সত্তর আশি বছর পার হয়ে গেছে ৷ শেষটায় বুড়ো হয়ে মরি আর কী!’ স্বপ্নের আজব দুনিয়ায় না হয় ইচ্ছেমতো বয়সকে ঘুরিয়ে দেওয়া চলে। বাস্তব দুনিয়ায় তো আর সেটা সম্ভব নয়।
কথাতেই আছে ‘দেহ পট সনে নট, সকলই হারায়।’ কাজেই বয়স বাড়বেই। আর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে তার ছাপও পড়বে। কিন্তু বয়স বাড়াকে আটকানো না গেলেও, শরীরে বয়সের ছাপ পড়াকে আটকানোর উপায় আছে। খুব কঠিন নয়, এমন কিছু টিপস রইল আপনার জন্য়। মেনে চলুন। দেখবেন বয়স বাড়াকে দশ গোল দিয়েছেন আপনি।
দৈনিক সাত ঘণ্টা ঘুমনো অত্যন্ত প্রয়োজন। সারাদিনের পরিশ্রমের পরেও অনেকে রাত জেগে ফোন ঘাঁটেন। বা সিনেমা দেখেন। এ সব থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। ঘুমনোর সময়কে কাটছাঁট করার চেষ্টা ভুলেও করবেন না। আর ঘুমনোর সময় চিত হয়ে ঘুমনোই ভাল। সেটা যদি সম্ভব নাও হয়, উপুড় হয়ে শোবেন না।
প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা হাঁটুন। হাঁটা মানে মৃদুগতিতে হাঁটা নয়। জোরে জোরে। এ ভাবে হাঁটলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ফলে শরীর হয়ে ওঠে ঝরঝরে। অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সূর্যের রশ্মি মুখে পড়লেই বয়সের ছাপ পড়ে যায়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন লোশন লাগান। আর চেষ্টা করুন সূর্যের আলো থেকে যতটা ত্বককে যতটা সম্ভব রক্ষা করতে।
অযথা কপাল বা চোখ-মুখ কুঁচকাবেন না। এতে তাড়াতাড়ি বলিরেখা পড়ে যেতে পারে।
প্রচুর পরিমাণে জল খান। ভাজা জাতীয় খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।
ধূমপান করার অভ্য়েস থাকলে এখনই সেটা ছেড়ে দিন।
অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার বেশি করে খান। যেমন-পাকা কলা, পাকা পেঁপে, পাকা আম, পাকা পেয়ারা, দই, ছানা, দুধ, ডিম, টাটকা শাকসবজি ইত্যাদি।
সর্বদা ইতিবাচক থাকুন। নানা ওঠাপড়া নিয়েই জীবন। মনে স্ট্রেস সৃষ্টি হলে শরীরে অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি থেকে এক ধরনের হরমোন বের হয়, যা শরীরে টক্সিন ছড়ায়। কোনও কারণে মন খারাপ হলে বা খুব স্ট্রেস হলে চেষ্টা করুন জীবনের সুন্দর অভিজ্ঞতাগুলির কথা মনে করতে।
বিষণ্ণতাকে মাথায় চড়তে দেবেন না। ভাল গান শুনুন। অবসরে পছন্দের কাজ করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে মন খারাপ কাটিয়ে উঠতে পারছেন।