অন্তর্বাস কখনও কখনও অন্তরের বাসা হয়েও দাঁড়ায়, জানেন কি? হ্যাঁ, এমনই এক জায়গার খবর আপনাকে দেব, যেখানে নানা রংয়ের অন্তর্বাস ঝুলছে। তা দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। এমনকী প্রয়োজন হলে নিজের অন্তর্বাসখানি খুলে সেই বেড়ায় ঝুলিয়েও দিচ্ছেন তাঁরা।নিউ জিল্যান্ডের সেন্ট্রাল ওটাগোয় কয়েক কিলোমটার জুড়ে একটি তারের বেড়া রয়েছে। যেটি কারড্রোনা ব্রা ফেন্স নামে পরিচিত।কিন্তু হঠাত্ এমন অদ্ভুত ধরনের বেড়া তৈরি কারণ কী? কথিত আছে, ১৯৯৯ সালে চার মহিলার নিজেদের অন্তর্বাস খুলে ওই বেড়ায় ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। নিছকই নববর্ষ পালনের উল্লাসে এমনই কাজ করেছিলেন বলে জানা যায়।কার্ড্রোনা হোটেলে নববর্ষ উদযাপন করে তাঁরা ঠিক করেন, ব্রা খুলে অবাধ স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ওই বেড়ায় ব্রায়ের সংখ্যা বেড়েছে…
প্রতি দিন কোনও না কোনও মহিলা নিজেদের অন্তর্বাস ঝুলিয়ে দিয়ে যান এখানে। কালক্রমে সংখ্যাটা কয়েক হাজার হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। এমনকী পর্যটকদের মনও কাড়তে শুরু করেছে এই জায়গা।অনেকে একে দৃশ্যদূষণ বলে সমালোচনা করলেও, ওই জায়গার জনপ্রিয়তায় কখনও ভাঁটা পড়েনি।পরবর্তীকালে, বিশ্ব স্তন ক্যানসার সচেতনতার জন্য এই বেড়া উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে।নিউ জিল্যান্ডে শুধুই যে ‘ব্রা বেড়া’ দেখা যায়, তেমনটা নয়। টুথ ব্রাশেরও বেড়া রয়েছে এ দেশে। হ্যামিলটন থেকে প্রায় এক ঘণ্টার রাস্তা পেরিয়ে তে পাহু গ্রামে।গ্রেম ক্যারিন্স নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা টুথ ব্রাশ দিয়ে বেড়া ডিজাইন করেন। পরে প্রতিবেশীরাও নিজেদের নষ্ট হয়ে যাওয়া টুথ ব্রাশ ওখানে ঝুলিয়ে দেন।এর পর ধীরে ধীরে অসংখ্য মানুষ টুথ ব্রাশ ঝোলাতে শুরু করেন। এমনকী সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক নিজের টুথ ব্রাশ দান করেন এখানে।জুতোর বেড়াও লক্ষ করা যায় এখানে। তবে বিশেষ সংস্থার জুতোই এখানে ঝুলতে দেখা যায়।
মরিস ইয়ক নামে এক ব্যবসায়ী জাপান থেকে জুতোর ডিজাইন অনুকরণ করে নিউ জিল্যান্ডে প্রচলন করেন। ১৯৫৭ সাল থেকে সেই জুতো নিউ জিল্যান্ডে তৈরি করেন মরিস।এই জুতো এখন নিউ জিল্যান্ডের সবথেকে জনপ্রিয়। সেই জুতো দিয়ে সাজানো বেড়া দেখতে পাবেন সেখানে।
কিংসটন রোডের ধারে দেখা যায় হুইল কটেজ। হুইল দিয়ে সাজানো বেড়া।
সাউথল্যান্ড ওথলে দেখতে পাবেন সাইকেলের বেড়া।
অকল্যান্ড কিংবা ওয়েন্ডারহমের গেলেই দেখা যায় রাস্তার দুধারে গাড়ির চাকা দিয়ে বেড়া। অদ্ভুত না!