বুদ্ধিমান ও মেধাবী সন্তান পেতে গর্ভাবস্থায় যা যা করবেন দেখে নিন!!!

বুদ্ধিমান ও মেধাবী সন্তান হোক তা সব মায়েরাই প্রত্যাশা করে থাকেন । আর এটা অনেকটাই নির্ভর করে মায়ের সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ওপর । যদি কোনও মা পুষ্টিকর খাবার না খান যেমন : ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ডি, লোহা ইত্যাদি তাহলে তার শরীরে কিছুটা ঘাটতি থেকে যাবে । আর এর প্রভাব পড়বে সন্তানের ওপর । মায়ের সঠিক খাবারের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশে সমস্যা দেখা দিতে পারে । গর্ভাবস্থায় মা কী খায় সেটা সন্তানের শারীরিক ও মানসিক গঠনে বড় ভূমিকা পালন করে ।

তাহলে দেরি কেন ? আসুন জেনে নিই গর্ভাবস্থায় কী কী খাবার খেলে আপনি বুদ্ধিমান ও মেধাবী সন্তান জন্মদিতে পারবেন… 

মাছ :

স্যালমন , টুনা , ম্যাকারেল ইত্যাদি ওমেগা – 3 ফ্যাটি এ্যাসিড সমৃদ্ধ । এগুলো বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই জরুরি । একটা গবেষণায় দেখা গেছে , যেসব মায়েরা গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে দুবারের বেশি মাছ খায় তাদের সন্তানের বুদ্ধি বা আইকিউ বেশি হয় ।

ডিম :

ডিম এ্যামিনো এ্যসিড কোলিন সমৃদ্ধ , যাতে মস্তিষ্কের গঠন ভাল হয় ও স্মরণশক্তি উন্নতি হয় । গর্ভবতী নারীদের দিনে অন্তত দুটো করে ডিম খাওয়া উচিত যার থেকে কোলিনের প্রয়োজনের অর্ধেক পাওয়া যায় । ডিমে থাকা প্রোটিন ও লোহা জন্মের সময় ওজন বাড়িয়ে দেয় ।

দই :

সন্তানের স্নায়ু কোষগুলো গঠনের জন্য আপনার শরীর প্রচুর পরিশ্রম করে । এ জন্য আপনার বাড়তি কিছু প্রোটিন লাগবে । আপনাকে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে যেমন : দই । দইয়ে ক্যালসিয়াম আছে যেটা গর্ভাবস্থায় লাগে ।

আয়রন :

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যা বুদ্ধিমান ও মেধাবী সন্তান হতে সাহায্য করে । এই খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় অবশ্যই খাওয়া উচিত । আয়রন আপনার গর্ভের সন্তানের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় । এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শে আপনার আয়রনের সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত ।

ব্লুবেরি :

ব্লুবেরির মত ফল , টমেটো ও লাল বিন্সে এ্যান্টি ওক্সিডেন্ট থাকে । তাই গর্ভাবস্থায় এই ফলগুলো আপনার সন্তানের মস্তিষ্কের টিস্যুকে রক্ষা করে ও বিকাশে সাহায্য করে ।

ভিটামিন-ডি :

যেসব মায়েদের ভিটামিনের মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে কম থাকে তাদের বাচ্চার মস্তিষ্ক দুর্বল হয় । ডিম , চিজ , বিফ , লিভার ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় । এছাড়া ভিটামিন – ডি এর ভাণ্ডার সূর্য্যের আলো তো আছেই ।

আয়োডিন :

আয়োডিনের অভাব , বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহে সন্তানের আইকিউ কম করে দিতে পারে । গর্ভাবস্থায় আয়োডিনযুক্ত লবণ খান । এছাড়া সামুদ্রিক মাছ , শামুক , ডিম , দই ইত্যাদি খেতে পারেন ।

সবুজ শাক-সবজী :

পালং শাক , ডাল ইত্যাদি ফলিক এ্যাসিড সরবরাহ করে । এছাড়াও ফলিক এ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট ভিটামিন বি – ১২ এর সঙ্গে খাওয়া উচিত । বুদ্ধিমান ও মেধাবী সন্তান পেতে এই সবজি গুলো খাওয়া উচিৎ ।

মস্তিষ্কের কোষ গঠনে ফলিক এ্যাসিড খুব প্রয়োজনীয় । একটা গবেষণায় দেখা গেছে , যেসব নারীরা গর্ভবস্থায় সন্তান প্রসবের চার সপ্তাহ আগে ও আট সপ্তাহ পর অবধি ফলিক এ্যাসিড নিয়ে থাকে তাদের ৪০ শতাংশ অটিস্টিক সন্তান জন্ম দেয়ার আশংকা কম থাকে ।

Related Posts

রোজা রেখে অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে কী করবেন!

রোজার মাসে সবাই যেন খাবারের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। সারা দিন না খাওয়ার অভাবটুকু ইফতারে পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কি এই প্রতিযোগিতা? কে কত খেতে বা রান্না করতে পারে।…

গলার অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ১০টি সহজ উপায়…

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই লক্ষ্য করছেন তো জিনিসটা? আর ভাবছেন কী বাজে লাগছে মুখটা! অতিরিক্ত কী একটা ঝুলছে! আজ্ঞে হ্যাঁ, আমি গলায় জমে থাকা…

জানেন কি গরমে খাবারের চার্ট কেমন হওয়া উচিত?

গরমে অস্বস্তিতে সবাই। এরমধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধা দেখা দিচ্ছে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে ঠিকঠাক খাবার চার্ট খুবই জরুরি-…

বয়স অনুযায়ী আপনার শিশুর প্রতিদিন কতটুকু পানি প্রয়োজন

বাচ্চার কতটুকু পানি প্রয়োজন সেটি আসলে নির্ভর করে বাচ্চার অবস্থা, ওজন ও বয়সের ওপর। জ্বর বা অসুখের সময় পানির বেশি প্রয়োজন। বেশি গরম পড়লে, খেলাধুলা করলে বেশি…

শারীরিক সৌন্দর্য বারাতে ও ওজন কমাতে রইল ১৪ টি সহজ ঘরোয়া উপায়

মাঝে মাঝে ব্যয়াম ও কখনো কখনো ডায়েট করে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করাটা আসলেই দুঃসাধ্য।শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে আজকাল অনেকেই চিন্তিত। সুস্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, শারীরিক সৌন্দর্যের…

ওভেনের খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়!

কম সময়ে খাবার গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেনই ভরসা। আধুনিক এই যন্ত্রটি জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। নামমাত্র সময়ে ঠান্ডা খাবার গরম করার এর চেয়ে ভাল উপায় আর নেই।…