একটু সুন্দরভাবে নিজেকে অন্যদের কাছে প্রকাশ করতে কে চাননা? তবে তার জন্যে গাদা গাদা টাকা খরচ করে প্রাস্টিক সার্জারের কাছে চলে যাওয়ার কোন মানেই হয়না। এতে খুব বেশি লাভ তো হয়ই না, বরং ত্বক, শরীর ও মন ও অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে প্লাস্টিক সার্জারি। তাই চলুন দেখে আসি এমন কিছু মেকআপের কৌশল যেগুলো প্রয়োগ করে প্লাস্টিক সার্জারি না করেই নিজের চেহারার ত্রুটিগুলোকে ঢেকে দিতে পারবেন আপনি।
১। ভ্রু শেপ করুন
আমাদের শরীরের সবচাইতে প্রথমে চোখে পড়ার মতন স্থানটি হচ্ছে চোখ। আপনার চেহারায় ক্লান্তি কতটা ফুটে উঠবে বা কতটা জৌলুস, সেটাও অনেকটা নির্ভর করে তাই চোখের ওপর। তাই চেষ্টা করুন চোখকে সবসময় একটু বাড়তি মনযোগ দেওয়ার। একটু বেশি যত্ন নেওয়ার। এক্ষেত্রে আইব্রো ওয়াক্সিং বা থ্রেডিং করতে পারেন আপনি। চোখের নানারকম যত্নের পাশাপাশি করা এই ওয়াক্সিং আপনার চোখের পাঁপড়িকে কোনরকম প্লাস্টিক সার্জারির ভেতর দিয়ে না নিয়ে কেবল ভ্রুকে খানিকটা এদিক-ওদিক করে দেবে। ফলে, আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে চোখ দুটো।
২। চোখের কালো দাগ দূর করুন
না, এটাও প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে নয়। বরং একদম অন্যরকমভাবেই চোখের চারপাশে থাকা কালো দাগ দূর করতে পারবেন আপনি। এক্ষেত্রে কনসেলার ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখুন সেটা যেন হলুদ বা পীচ আন্ডারটোনের হয়। এছাড়াও ভ্রুকে হালকা রংয়ের ছোঁয়া দিয়ে নিজের চোখকে আরো বেশি ফুটিয়ে তুলতে পারেন আপনি অন্যদের কাছে। এভাবে চোখের কালির ব্যাপারটাও একটু হলে কম নজরে আসবে।
৩। চোখের ফোলাভাব দূর করুন
নানারকম ভেষজ উপাদান ব্যবহার করতে পারেন আপনি চোখের ফোলাভাব দূর করতে। ব্যবহার করতে পারেন আপনার ত্বকের উপযোগী কোন ক্রিমও। তবে কেবল ফোলাভাব দূর করলেই হবে না। সেই সাথে চোখের পাঁপড়িকে একটু ভারিক্কি ভাব দিন আইল্যাশ কার্লার ও মাসকারা ব্যবহারের মাধ্যমে।
৪। নাকে এনে দিন সরুভাব
প্লাস্টিক সার্জারির ধারে কাছে না গিয়েও কেবল হাইলাইটার দিয়েই কাজ চালিয়ে দিতে পারেন আপনি এক্ষেত্রে। প্রথমেই এমন কোন হাইলাইটার বাছাই করুন যেটার রং আপনার ত্বকের চাইতে গাঢ়। এবার নাকের দুই পাশে, চোখের নীচ থেকে নাকের উঁচু অংশ পর্যন্ত টান দিন। তারপর ধীরে ধীরে মেক-আপের সাথে রংটাকে মিশিয়ে নিন। তবে হাইলাইটারের দাগটাকে পুরোপুরি মিশিয়ে দেবেন না। কারণ এতে করে আপনার নাক সরু দেখাবে।
৫। মুখের ত্বকের ভাঁজকে সরিয়ে দিন
ত্বকের এই উটকো দাগগুলোকে দূর করার জন্যে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। সেইসাথে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যও নিতে পারেন। তবে মেক-আপের ক্ষেত্রে ব্লাশ, পাউডার আর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেই এই দাগগুলোকে উধাও করে দিতে পারেন আপনি চেহারা থেকে। তবে খেয়াল রাখুন এই উপাদানগুলো যেন শুষ্ক না হয়ে ক্রিমি হয়। কারণ, এসব ক্ষেত্রে ক্রিমি প্রসাধনীগুলোই ত্বকের ভাঁজকে সরাতে সাহায্য করে।
৬। ঠোঁটকে কম সাজান
আপনি ঠোঁটে যত বেশি গাঢ় রং ব্যবহার করবেন ততটাই সেটা আপনার চেহারার ত্রুটিগুলোকে অন্যের চোখে পড়তে সাহায্য করবে। তাই ঠোঁটে গাঢ় কোন রং না মেখে হালকা রং প্রয়োগ করুন। আর লিপস্টিকের রং গাঢ় হলেও সেটাকে হালকা করে এনে লিপ গ্লসের পর্যায়ে নিয়ে আসুন।
৭। পাতলা ঠোঁটকে মোটা করুন
পাতলা ঠোঁটের অধিকারী বলে প্লাস্টিক সার্জারি করতে দৌড়াচ্ছেন? সত্যিই কি সেটা আপনার জন্যে ভালো হবে? তরচাইতে বরং মেক-আপের মাধ্যমে লিপ লাইনার আর লিপস্টিক দিয়েই আপনর পাতলা ঠোঁটকে করে তুলুন মোটা। এক্ষেত্রে প্রথমেই পছন্দমতন লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট একে নিন আর সেই অনুযায়ী রং করুন।