সময় যত এগিয়ে যাচ্ছে, ততই কর্মব্যস্ততা, খাদ্যাভ্যাসের জটিলতা ইত্যাদি কারণে প্রাত্যহিক জীবন থেকে সরে যাচ্ছে যৌনতার ইচ্ছা। দেশ-বিদেশের নানা গবেষণায় প্রমাণিত, প্রতিদিনের জীবনে যত কাজের চাপ বাড়ে, ততই হ্রাস পায় লিবিডো বা যৌন ইচ্ছা। কিন্তু সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে গেলে সুন্দর যৌন জীবন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শরীরচর্চা ছাড়াও নিয়মিত যৌনক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে কিছু খাবারও। যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের শক্তিবৃদ্ধি ও অবসাদ কাটাতেও কার্যকর কার্যকর খাবারগুলো দেখে নিন এক নজরে:
তরমুজ: বলা হয়ে থাকে যে, ‘ভায়াগ্রা’র সমান কাজ করে এই ফল। সম্প্রতি নানা গবেষণায় প্রমাণিত, শুধু শরীরে পানির মাত্রা বাড়ানো এবং ওজন কমাতেই সাহায্য করে না তরমুজ, বরং যৌন ইচ্ছা বাড়াতেও একই রকম সাহায্য করে এই ফল। এর ‘সিট্রোলিন অ্যামিনো অ্যাসিড’ লিবিডোর মাত্রা বাড়ায়। ফলে কামেচ্ছা ও যৌন ক্ষমতা দুটিই বাড়ে।
আমন্ড এবং পেস্তা: আমন্ডে প্রচুর ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে। ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ যে সব খাবার ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে, তাদের মধ্যে আমন্ড অন্যতম। তাই নারী-পুরুষ নির্বিশেষ এই খাবার যৌনাকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে তোলে। আবার লিবিডো বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে পেস্তা। এটি ‘তামা’, ‘জিঙ্ক’ ও ‘ম্যাঙ্গানিজ’ একটি বিশাল প্রাকৃতিক উৎস। শুক্রাণুর ঘনত্ব বাড়াতেও পেস্তার গুরুত্ব অপরিসীম।
জাফরান: যৌনশক্তি বৃদ্ধি ও কামেচ্ছাকে স্বাভাবিক রাখতে এই ফলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জাফরান যেমন মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে তেমনই এটি রক্তে ‘ইস্ট্রোজেন’, ‘সেরোটোনিন’ ও অন্যান্য ‘ফিল-গুড হরমোন’ ক্ষরণে সাহায্য করে। তাই অনেক ফিটনেস এক্সপার্টই দুধে জাফরান মিশিয়ে খাওয়ার পক্ষপাতী। লিবিডো বৃদ্ধিতে এই খাবার বিশেষ উপকারী।
ডার্ক চকোলেট: প্রতি দিন দুই টুকরা করে ডার্ক চকোলেট রাখুন খাদ্য তালিকায়। এটা শুধু লিবিডো বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে তা নয়, বরং দীর্ঘদিন অনভ্যস্ত যৌন জীবনকেও খুব তাড়াতাড়ি ছন্দে এনে দেবে। এতে ‘এল-আর্জিনিন অ্যামিনো অ্যাসিড’ থাকে, যা শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক মাত্রায় রেখে উদ্যমী করে তোলে।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: শরীরে পটাশিয়াম কমে গেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায়। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখলে তা লিবিডো বৃদ্ধি করতেও বিশেষ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই কলা, শুকনো খুবানি, নারকেলের পানি ইত্যাদি খাবার প্রতি দিন রাখুন খাদ্যতালিকায়।