পিরিয়ডের সময় যে কাজগুলি মোটেই করতে নেই – নইলে বিরাট ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে!!!

পিরিয়ডের সময় যে কাজগুলি মোটেই করতে নেই – নইলে বিরাট ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে!!!

একজন নারী যে শারীরিকভাবে সুস্থ এবং গর্ভধারণে সক্ষম, তার অন্যতম চিহ্ন হল নিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড। পিরিয়ডের দিনগুলো অন্য স্বাভাবিক দিনগুলোর চেয়ে একটু ভিন্ন রকম থাকে। হরমোনের কারণে কিছু শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে৷ এই সময় মহিলাদের শরীর অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি দুর্বল থাকে।

অনেকের জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে, তলপেট স্ফিত হয়! ব্যথা করে৷ এমনকি বমিও হয়। কিছু কাজ রয়েছে যা এই সময়ে করলে শরীরের অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে। এ সময়ে করা যাবে না এমন কোন কাজ যা শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

১. উপুড় হয়ে শোয়া

অনেকেরই পেটে ভীষণ ব্যথা থাকে বলে পেটে চাপ দিয়ে শুয়ে থাকেন। উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলে তা পেটে এমনভাবে চাপ ফেলে যে সেটা মোটেও ভালো নয়। এছাড়া এই সময় উপুড় হয়ে শুলে হার্ট রেটে তারতম্য হয়, রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয় এবং অক্সিজেন ঠিকমতো সরবরাহ হয় না বলে মাথা ঝিমঝিম বা ব্যথা করে।

২. ভারী জিনিস তোলা

নারীদের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ থাকে তাদের পেটে। যেমন জরায়ু বা ডিম্বাশয়। তাই খুব বেশি ভারী জিনিস টেনে তোলা নারীদের জন্য ভালো নয়। আর পিরিয়ডের সময় তো একেবারেই নয়।

৩. ভারী ব্যায়াম

পিরিয়ডের সময় ভারী কোন ব্যায়াম করা একেবারেই উচিত নয়। পিরিয়ডের সময় করার জন্য বিশেষ কিছু ব্যায়াম রয়েছে, সেগুলো করতে পারেন। যোগব্যায়ামের কিছু আসন পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে খুবই কাজে দেয়।

৪. প্রাকৃতিক কাজ আটকে রাখা

এই বদঅভ্যাসটা অনেকরই আছে। প্রস্রাব পেলে তা আটকে রাখা কখনই উচিত নয়। এটি কিডনির ওপরে ভয়াবহ রকমের চাপ ফেলে। বারবার প্যাড পাল্টানোর ভয়ে অনেকেই পিরিয়ডের সময় প্রস্রাব চেপে রাখেন। এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এই সময়ে একাজ তলপেটের ওপর চাপ ফেলে এবং ব্যথা দীর্ঘসময় ধরে থাকে।

৫. জোরে চিৎকার করা

পিরিয়ডের সময় রাগ, বিরক্তি, জেদ তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যায়। রেগে গিয়ে জোরে চিৎকার চেঁচামেচি করা উচিত নয়৷ এর ফল হবে ভয়ানক। এটি সরাসরি তলপেটে চাপ ফেলে। কাউকে ডাকতে গিয়েও জোরে চিৎকার করা ঠিক নয়৷ চিৎকার করতে শরীরের যেসব পেশীর ওপর জোর দিতে হয় তার মধ্যে পেটের পেশীও আছে।

৬. জল কম পান করা

ঘন ঘন প্রস্রাব লাগবে ভেবে অনেকেই এ সময় জল কম খান। অথচ পিরিয়ডের সময়েই বেশি করে জল খাওয়া উচিত। প্রচুর পরিমাণে জল পান শরীরকে দুর্বল হবার হাত থেকে বাঁচায়। এছাড়া রক্তের তরল্যের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যেও এ সময় প্রচুর পরিমাণে জল ও তরল খাবার খাওয়া উচিত।

Related Posts

রোজা রেখে অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে কী করবেন!

রোজার মাসে সবাই যেন খাবারের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। সারা দিন না খাওয়ার অভাবটুকু ইফতারে পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কি এই প্রতিযোগিতা? কে কত খেতে বা রান্না করতে পারে।…

গলার অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ১০টি সহজ উপায়…

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই লক্ষ্য করছেন তো জিনিসটা? আর ভাবছেন কী বাজে লাগছে মুখটা! অতিরিক্ত কী একটা ঝুলছে! আজ্ঞে হ্যাঁ, আমি গলায় জমে থাকা…

জানেন কি গরমে খাবারের চার্ট কেমন হওয়া উচিত?

গরমে অস্বস্তিতে সবাই। এরমধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধা দেখা দিচ্ছে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে ঠিকঠাক খাবার চার্ট খুবই জরুরি-…

বয়স অনুযায়ী আপনার শিশুর প্রতিদিন কতটুকু পানি প্রয়োজন

বাচ্চার কতটুকু পানি প্রয়োজন সেটি আসলে নির্ভর করে বাচ্চার অবস্থা, ওজন ও বয়সের ওপর। জ্বর বা অসুখের সময় পানির বেশি প্রয়োজন। বেশি গরম পড়লে, খেলাধুলা করলে বেশি…

শারীরিক সৌন্দর্য বারাতে ও ওজন কমাতে রইল ১৪ টি সহজ ঘরোয়া উপায়

মাঝে মাঝে ব্যয়াম ও কখনো কখনো ডায়েট করে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করাটা আসলেই দুঃসাধ্য।শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে আজকাল অনেকেই চিন্তিত। সুস্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, শারীরিক সৌন্দর্যের…

ওভেনের খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়!

কম সময়ে খাবার গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেনই ভরসা। আধুনিক এই যন্ত্রটি জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। নামমাত্র সময়ে ঠান্ডা খাবার গরম করার এর চেয়ে ভাল উপায় আর নেই।…