গত রাতেই আমার কাছে তার ফোন এসেছিল। যখন আমি ফোন তুললাম তখন দেখি সে কাঁদছে। বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পর ও আমাকে জানায় যে তার এই মাসের পিরিয়ড মিস হয়ে গেছে। এখন সে ভয় পেয়েছে যে সে গর্ভবতী হয়ে যায়নি তো। অবশ্যই, যে কোন অবিবাহিত মেয়েদের জন্য এটি খুব ভীতিকর বিষয় হতে পারে যে প্রতি মাসে তার ক্রমাগত পিরিয়ড আসা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে।
মাসিক বা পিরিয়ড মহিলাদের জন্য একটি সাধারণ ব্যাপার। প্রতিমাসে প্রত্যেক মহিলার এটি সঠিক সময়ে হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়া অনেক নারীদের কাছে সমস্যা হয়। পিরিয়ড বন্ধ হওয়া তাদের গর্ভাবস্থা হওয়ার শুধুমাত্র কারণ তা নয়। এর পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে।
চলুন শুরু করা যাক নারী ও যুবতীদের এই সমস্যাগুলির কারণ কি?
গর্ভনিরোধক ঔষধের সেবন
আপনি জন্ম নিয়ন্ত্রণ ঔষধ যদি গ্রহণ করেন তাহলে আপনার পিরিয়ড মিস হতে পারে। গর্ভনিরোধক ঔষধের ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে। অতএব এই কারণেই পিরিয়ড মিস হতে পারে।
থাইরয়েড সমস্যার কারণে
আমাদের গলায় থাইরয়েড গ্রন্থিটির কম সক্রিয় বা অধিক সক্রিয় হওয়ার কারণে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য আরও খারাপ হয়ে যায়। এই কারণে পিরিয়ড মিস হয়ে যেতে পারে।
ডাইবেটিসের কারনে
যদি আপনি সুগারের রুগী হন, তবে দেহে সুগারের মাত্রা বেশী বা কম হওয়ার কারনে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকে। এই কারণে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে।
বয়স বাড়াও একটা কারন
বর্ধিত বয়স অনিয়মিত পিরিয়ড অথবা পিরিয়ড না হওয়ার কারন হতে পারে। মহিলাদের ৪০ বছর বয়সের পরে কিছু সমস্যা হতে পারে, যার কারণে পিরিয়ড মিস হয়ে যায়।
ওজন বাড়ার কারন
মহিলাদের ওজন অনেক সময় পিরিয়ডকে প্রভাবিত করে। বাড়তি স্থূলতা আমাদের মস্তিষ্কের গ্রন্থিগুলির উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এই কারণে শরীরের হরমোনগুলি বিকল হয়ে যায় এবং পিরিয়ড হয় না।
এছাড়াও চিন্তাও একটি কারণ
ক্রমাগত চিন্তায় থাকার কারনে এস্ট্রোজেন এবং কার্টিসোল হরমোন শরীরের মধ্যে মুক্তি হয়। এই কারণে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়।
অত্যধিক ব্যায়ামের কারণে
অতিরিক্ত ব্যায়াম বা শারীরিক শ্রম করার ফলে শরীরের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে এস্ট্রোজেন হরমোন মুক্তি পায় না, এই কারণে অনেক সময় পিরিয়ড হয় না।