স্তনযুগলকে সুডৌল ও সুগঠিত রাখতে চান প্রত্যেকটা নারীই। হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী মেরিলিন মোনরোও চাইতেন তার স্তনযুগলকে সুডৌল ও সুগঠিত রাখতে। তাইতো তিনি বক্ষ বন্ধনী (ব্রা) পরেই ঘুমাতেন।
শুধু মেরিলিন মোনরোই নন, বর্তমান যুগের প্রায় সব নারীরই মনে করেন বক্ষ বন্ধনী স্তনযুগলকে আরও সুগঠিত, সুদর্শনীয় ও সুডৌল করে তোলে। কিন্তু সম্প্রতি এ ধারণাকে ভুল প্রমানিত করেছে ফ্রান্সের একটি গবেষণা। এতে দেখা গেছে যে, ব্রা নয় বরং স্বাভাবিক অবস্থাতেই নারীর স্তনযুগল সবচেয়ে ভাল থাকে।
সম্প্রতি ইয়াহু নিউজের এক প্রতিবেদনের বলা হয়- চিকিৎসাবিজ্ঞান, শারীরিকবিজ্ঞান এবং অঙ্গবিজ্ঞানে এটি প্রচলিত ধারণা যে, বক্ষবন্ধনী নারীর স্তনযুগলকে ঢিলে হওয়া ভাব থেকে বাঁচায় এবং পিঠের ব্যথা রোধ করে। তবে ফ্রান্সের একদল বিজ্ঞানী ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়স্ক ৩৩০ জন ফরাসি নারীর ওপর ১৫ বছর ধরে গবেষণা করে দেখলেন- এই ধারণা একদমই ঠিক নয়।
ওই গবেষণা দলের একজন বেসানকন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জাঁ ডেনিস রুইলন গণমাধ্যমকে বললেন, ‘ব্রার কারণেই স্তনযুগলে ঢিলেভাব আসে’।
বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় দেখেছেন, ব্রা পরিধান না করলে স্তনের আশপাশের পেশীগুলো শক্তিশালী হয়। সেই সাথে প্রতি বছর স্তনবৃন্তের পরিমাণ ৭ মিলিমিটার করে বাড়ে। তারা বলছেন, ব্রা ব্যবহার বন্ধ করলে স্তন হয়ে উঠে আরও সুললিত-সুডৌল এবং এর পেশীগুলো নিজেরাই স্তনের ভার বহনে সক্ষম হয়।
অপরদিকে ব্রা’র ব্যবহার স্তনের টিস্যুগুলোকে জন্মাতে দেয় না। এমনকি এগুলোকে নির্জীব করে তোলে এবং স্তন ধীরে ধীরে তার আকর্ষনীয়তা হারিয়ে ফেলে।
উক্ত গবেষণায় অংশগ্রহন করেন ৩৩০ জন ফরাসি নারী। এদের মধ্যে একাংশ ব্রা’র ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে তাদের কোন পিঠের ব্যথা হয়নি। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৩০ বছর বয়স্ক একজন নারী ব্রা পরিধান না করার নানান সুবিধার কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এখন খুব সহজেই নিঃশ্বাস নিতে পারছি, আমার স্তনযুগলকে খুব সহজেই বহন করতে পারছি এবং আমার কোন পিঠের ব্যথা নেই’।