সাদাস্রাব বা লিকোরিয়া একটি প্রচলিত রোগ। নারীর জরায়ু থেকে এক ধরনের শ্বেত বর্ণের তরল স্রাব নির্গত হয়, যাকে লিকোরিয়া বলে। সংস্কৃত ভাষায় একে শ্বেতপ্রধারাও বলা হয়। এমনিতে জীবনে কমবেশি সবারই ভেজাইনা থেকে হালকা সাদাস্রাব বা লিকোরিয়া নিঃসৃত হয়। তাই অনেকে এটিকে তেমন গুরুত্ব দেন না।
তবে যখন সাদাস্রাব নির্গত হওয়ার পরিমাণ খুব বেশি হয়, তখন বিষয়টি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেননা এ থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে ভেজাইনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
লিকোরিয়ার কারণ –
অনেক নারীরই মাসিকের আগে সাদাস্রাব নির্গত হয়। সন্তান ধারণ করলে লিকোরিয়া নিঃসৃত হতে পারে। যৌন উত্তেজনার সময় এটি হতে পারে। অনেক সময় শিশুজন্মের পরও মায়ের অল্প সময়ের জন্য লিকোরিয়া হতে পারে। এর ব্যাপ্তি এক থেকে ১০ দিনের মতো হয়ে থাকে।
ভেজাইনাল ইনফেকশনের কারণে হতে পারে। যৌনবাহিত অসুখের কারণে হয়ে থাকে।
ফাংগাস বা ছত্রাকের দ্বারা ভেজাইনা সংক্রমিত হওয়ার ফলে লিকোরিয়া হয়।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
যখন স্রাবের রং একদম সাদা না হয়ে হলুদ, সবুজ বা ধূসর সাদা বর্ণের হয়। যদি দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব নিঃসৃত হয়। লিকোরিয়া নির্গত হওয়ার পাশাপাশি যদি ভেজাইনায় চুলকানি হয়। এসব সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
প্রতিরোধ –
পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকতে হবে। পোশাক-আশাক পরিছন্ন রাখতে হবে। উষ্ণ গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। বেশি পরিমাণে সাদাস্রাব নিঃসৃত হলে ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে।
চিকিৎসা –
লিকোরিয়ায় সাধারণত অ্যান্টি ফাংগাল ওষুধ বা অ্যান্টি প্রটোজল ওষুধ ব্যবহার করা হয়। যদি সাদাস্রাবের সঙ্গে ইনফেকশন থাকে তবে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। বিবাহিত হলে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই চিকিৎসা নিতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।