ডিমের খোসা না ফেলে- ডিম হল প্রোটিনের উৎস। অনেক লোক সকালের ব্রেকফাস্ট ও দিনের নানান সময়ে ডিমের নানান পদ খেয়ে থাকেন।
যেমন ডিম সিদ্ধ, অমলেট, এগরোল আরও অনেক কিছু। কিন্তু খাবার পরে ডিমের খোসাটির কি হয় ? আর সবার মতো ফেলে দেন তাই তো ? চ্যালেঞ্জ করলাম। এই লেখাগুলি পড়ার পর ডিমের খোসা ফেলার সময় আপনার হাত কাঁপবে…
১ – ক্যালসিয়ামের উৎস –
ডিমের খোসা প্রাকিতিক ক্যালশিয়ামের একটি প্রধান উৎস যা সরাসরি দেহে শোষিত হয়।
২ – শক্ত হাড় –
ডিমের খোসায় যে ক্যালসিয়াম থাকে ঠিক সেই ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের হাড়ে ও দাঁতে দেখতে পাওয়া যায়, তাই এটি আমাদের হাড়কে শক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের পেশী ও স্নায়ুর জন্যও এটি প্রয়োজন।
৩ – ব্লাড প্রেসার কমায় –
ডিমের খোসা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ও কোলেস্টেরল লেভেল বজায় রাখে।
৪ – প্রাত্যহিক ক্যালশিয়াম এর ঘাটতি পূরণ –
অর্ধেক চামচ ডিমের খোসা রোজ খেলে ৯০% পর্যন্ত ক্যালশিয়াম সরবরাহ হয় আমাদের দেহে।
৫ – উজ্জল ত্বক –
ডিমের খোসা দিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে মুখে লাগালে তা ত্বকের উজ্জলতা ফুটিয়ে তোলে।
৬ – গাছের উর্বরতা বৃদ্ধি –
যেহেতু ডিম ক্যালসিয়াম এর উৎস তাই এটী মানব শরীরের সাথে সাথে উদ্ভিদেরও সুস্থ বিকাশে সাহায্য করে।
৭ – বাড়ি পরিস্কার –
সাবান জলের সাথে ডিমের খোসা মিশিয়ে তা দিয়ে সহজেই নোংরা পাত্র, ফুলের পট পরিস্কার করা যায়।
৮ – উৎকর্ষ পশুখাদ্য –
ডিমের খোসা গুড়ো করে পাওডারে পরিনত করে আপনার পোশ মানা কুকুর কে খেতে দিন। এতে তার ক্যালশিয়াম এর জোগান হবে।
৯ – কফির স্বাদ পরিবর্তন –
যদি আপনি কিছু ডিমের খোসা কফি ফোটার আগে তাতে মিশিয়ে দেন তাহলে কফি সামান্য কম তিক্ত হবে।
১০ – চারাগাছ রোপণ –
ডিমের খোসার মধ্যে চারাগাছের বৃদ্ধি অন্য যে কোন পরিবেশের থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যসন্মত।