শরীরকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে রুটির বিকল্প হয় না বললেই চলে। রুটিতে থাকা একাধিক পুষ্টিকর উপাদান হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তবে কেউ ওজন কমাতে, কেউবা অভ্যাসের কারণেই রাতে রুটি খেয়ে থাকেন।
কিন্তু রাতে রুটি খাওয়ার অভ্যাস কি স্বাস্থ্যকর? একদল বলছেন অবশ্যই। আরেক দলের মত একেবারে ভিন্ন। এক্ষেত্রে পুষ্টিবিজ্ঞানীদের একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে রাতে রুটি খেলে শরীরের অন্দরে নিচের পরিবর্তনগুলি ঘটে।
এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পায়
একাধিক কেস স্টাডি এবং গবেষণায় দেখা গেছে রাতে রুটি খেলে শরীরে শক্তির মাত্রা চোখে পড়ার মতো বেড়ে যায়। ফলে ক্লান্তি দূর হয়ে শরীর একেবারে চাঙা হয়ে ওঠে।
ওজন কমে সাহায্য করে
রুটিতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। মাত্র ৭০। তাই রাতে রুটি খেলে ওজন বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাই যারা ওজন কমাতে চান তারা রাতের খাবারে রুটি রাখতেই পারেন।
শরীরে জমা অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরায়
একাধিক গবেষণা মতে, রাতে রুটি খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরতে শুরু করে। ফলে ওজন কমে যায়। মূলত রাতে রুটি খেলে ওজন তো বাড়েই না, উল্টে কমতে শুরু করে।
হজমের উন্নতি ঘটে
রুটিতে থাকা ফাইবার শরীরে প্রবেশ করামাত্র হজম ক্ষমতা বাড়াতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বল এবং বদ-হজমের মতো সমস্যাও কমিয়ে দেয়। এখানেই শেষ নয়, রাতে ভাতের চেয়ে রুটি তাড়াতাড়ি হজম হয়। ফলে বদ-হজমের আশঙ্কা কমে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
রুটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম হওয়ায় খাওয়ামাত্র রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। ফলে ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে সকাল-বিকেল রুটি খেতে পারেন।
মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে
একাধিক গবেষণা মতে, রাতে নিয়মিত রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হঠাৎ করে প্রেশার বেড়ে যাওয়ার কারণে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে রুটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ত্বকের জন্য উপকারি
রুটিতে প্রচুর মাত্রায় জিঙ্ক রয়েছে। এটা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই রাতে রুটি খাওয়া ত্বকের জন্যও ভালো।
ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ
রুটিতে উপস্থিত সেলেনিয়াম ও ফাইবার একাধিক ক্যান্সার রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশেষত, যাদের পরিবারে এমন রোগের ইতিহাস আছে, তারা রাতে রুটি খেতেই পারেন।