ইচ্ছেশক্তি! এ শক্তির কাছে হার মানে বাকি সবকিছুই। সেই শক্তিকে হাতিয়ার করেই আজ বিশ্বখ্যাত হয়ে উঠেছেন এক ইরানিয়ান শিল্পী।
দু’টো হাতই কাজ করে না। তাতে কী? অন্যদের থেকে কোনও অংশে কম যান না তিনি। কোনওদিন ভাবেননি, সুস্থ সবল মানুষের তুলনায় তিনি দুর্বল। বরং অন্য অনেকের থেকে তাঁর ইচ্ছাশক্তির জোর অনেক বেশি।
আর তাতে ভর করেই আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখেছেন। শুধু দেখেননি, তাকে বাস্তবায়িতও করেছেন। প্রতিবন্ধকতার প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠেছেন ২৮ বছরের ফতেমা হামামি। পায়ের দুই আঙুলের ফাঁকে পেনসিল ধরেও যে এমন সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠা সম্ভব, তা তাঁর শিল্পকলা না দেখলে বিশ্বাস হবে না। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো থেকে লিও মেসি এমনকী শাহরুখ খানকেও তুলির টানে জীবন্ত করে তুলেছেন এই যুবতী। পায়ের জাদুুতে বিশ্বজয় করেন রোনাল্ডো-মেসিরা। ফতেমাও পারেন পা দিয়ে ম্যাজিক দেখাতে। তাক লাগাতে।
তাঁর প্রতিটি সৃষ্টিই প্রতিবন্ধী সমাজের কাছে বার্তা দেয় নতুন করে স্বপ্ন দেখার। জীবনযুদ্ধে হার না মানার। অনুপ্রেরণা পান তাঁর মতো আরও অনেকে। তাঁর পেন্টিং দেখে বোঝার উপায় নেই যে ফতেমার শরীরের ৮৫ শতাংশই অকেজো। খাওয়া-দাওয়া হাঁটা-চলার জন্য পরনির্ভর তিনি। কিন্তু সৃজনশীলতায় তিনি স্বাধীন। আর সেই বিষয়টিই তাঁকে হাসি মুখে বাঁচার অক্সিজেন দেয় প্রতিনিয়ত। তাঁর আঁকা রোনাল্ডো, মেসির সব ছবি বিশ্ব জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সারা দুনিয়াতেই ছড়িয়ে পড়েছে শিল্পীর কাজ।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন