সিস্ট ত্বকের নীচে মসৃণ, গোলাকার এবং শক্ত গঠনের হয়। শরীরের যে কোনো স্থানে সিস্ট হতে পারে।সিস্ট ত্বকের নীচে মসৃণ, গোলাকার এবং শক্ত গঠনের হয়। সিস্ট সাধারণত হয়ে থাকে ইনফেকশনের জন্য, সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড ব্লক হয়ে গেলে, বাহ্যিক কোন উপাদান প্রবেশ করলে এবং টক্সিনের কারণে। শরীরের টিস্যুর ভেতরে হয় সিস্ট এবং এর মধ্যে তরল বা আধা তরল পদার্থ থাকে।
কখনো কখনো এরা ব্যথামুক্ত হয় এবং খুব ধীরে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই সিস্ট যদি সংক্রমিত হয় তাহলে সিস্টে ব্যথা, চুলকানি বা জ্বলুনি হতে পারে। কখনো কখনো সিস্ট ফেটেও যেতে পারে। সিস্ট যদি আভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন- কিডনি, লিভার এবং অগ্নাশয়ে হয় তাহলে তা ছোট হয় এবং কোন লক্ষণ প্রকাশ করেনা বলে বোঝাও যায় না। কিন্তু যদি ত্বকের নীচে হয় তাহলে তা চামড়ার নীচে বিশ্রী লাল ফোলা দেখায় যা স্পর্শ করলে নরম অনুভূত হয় এবং ব্যথা করে। ত্বকের এই সিস্ট ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। সিস্ট ভালো করার ঘরোয়া প্রতিকারের বিষয়ে জানবো এই ফিচারে।
১। অ্যালোভেরা
দিনে কয়েকবার অ্যালোভেরা জেল সিস্টের উপরে ঘষুন। এছাড়াও শরীর থেকে অপদ্রব্য বের হয়ে যাওয়ার জন্য এবং সিস্টকে সংকুচিত করার জন্য ১ কাপ অ্যালোভেরার জুস পান করুন।
২। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
সিস্ট থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকের pH এর ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে, যে কোন ইনফেকশন দূর করতে এবং চুলকানি ও জ্বালা-পোড়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। একটি তুলার বল অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে ভিজিয়ে নিয়ে সিস্টটি মুছে নিন। দিনে কয়েকবার এটা করুন। এছাড়াও ১ গ্লাস পানিতে ২ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।
৩। হলুদ
সিস্ট দূর করতে চমৎকারভাবে কাজ করে হলুদ। ১ কাপ উষ্ণ দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং পরিপাকের উন্নতি ঘটায়। ভালো ফল পাওয়ার জন্য ১০ দিন হলুদ মেশানো দুধ পান করুন।
৪। মধু
সাময়িক ভাবে ক্ষত ভালো করতে পারে মধু। ত্বকের নীচের সিস্ট ভালো করার জন্য মধুর প্রলেপ অত্যন্ত কার্যকরী। গম ঘাস ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এর সাথে মধু মিশিয়ে সিস্টের উপর প্রলেপ দিন এবং একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। সারারাত এভাবে রেখে দিন। অবশ্যই ইতিবাচক ফল দেখতে পাবেন।