সৌন্দর্যচর্চায় এ্যালোভেরার ব্যাপক ব্যবহার হলেও ওষুধিগুণে ভরা এ উদ্ভিদটি বিভিন্ন কারণে ব্যবহার করা যায়। এতে রয়েছে এ্যান্টিভাইরাল ও এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। বাগানের কোনায় অযতেœ বেড়ে ওঠা উদ্ভিদটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর।
৯৬ শতাংশ জেল সমৃদ্ধ এ উদ্ভিদে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও ই। শুকিয়ে যাওয়ার পর এর গুঁড়াও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।
শীত, গ্রীষ্ম সব মৌসুমেই এ্যালোভেরার তৈরি পণ্য ব্যবহার করা যায়। যে কোন ত্বকের মানুষ এসব পণ্য ব্যবহার করতে পারেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এ্যালোভেরার জেল সরাসরি ব্যবহারের পাশাপাশি অনেকে বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করে থাকেন। যা শরীরের জন্য কোন না কোনভাবে উপকারী। শুষ্ক ত্বকের জন্য : নির্দিষ্ট পরিমাণ এ্যালোভেরা, হলুদ, এক চা চামচ মধু, দুধ ও গোলাপ জলের মিশ্রণ তৈরি করে শুষ্ক ত্বকের জন্য ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
স্ক্রাব : আধা কাপ এ্যালোভেরা জেল, এক কাপ চিনি, দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার মরা চামড়ার জন্য ভাল। এছাড়া দাগ কমাতেও ভূমিকা রাখে এ স্ক্রাব। ব্রণে উপকারী : পরিমাণমতো এ্যালোভেরা জেল, ময়দা ও বাদামের ব্লেন্ড এবং মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ব্রণে উপকার পাওয়া যায়। সেনসিটিভ স্কিন : এ্যালোভেরা জেল, শসার রস, ইয়োগার্ট ও গোলাপ জল মিশিয়ে ২০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া ওজন কমাতে ও চুল পড়া বন্ধে এ্যালোভেরা বেশ পারদর্শী।