কথায় আছে, প্রেম মাত্রই অন্ধ। কারও প্রেমে অন্ধ হলে জাত, ধর্ম, প্রথা কোনোকিছুই আর বিবেচ্য বিষয় হয় না। বিপরীত লিঙ্গের বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য বা গুণে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যে কেউই তাকে জীবনসঙ্গী করে নেওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন। তবে গাড়ি চালানোর দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে একজন তরুণী কোনো পুরুষকে বিয়ে করে ফেলতে পারে, এমন ঘটনা বোধহয় কস্মিনকালেও কেউ কখনও শোনেননি।
পাকিস্তানের এক তরুণী ও তার গাড়ি চালকের বদৌলতে এমন অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী হলো অনেকেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে নিজের গাড়িচালকের গিয়ার বদলানোর দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন খাতিজা (১৭) নামের ওই পাকিস্তানি তরুণী। পরবর্তীতে ২১ বছর বয়সী ওই গাড়িচালককেই বিয়ে করে তার সঙ্গেই জীবনের গাড়িতে চড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সম্প্রতি এই দম্পতি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডেইলি পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রেমকাহিনির কথা জানিয়েছিলেন। সেখানে জানা যায়, খাতিজা গাড়ি চালাতে জানতেন না। মেয়েকে গাড়ি চালানো শেখানোর জন্য খাতিজার বাবা এক চালককে নিয়োগ দেন। তবে ভাগ্যের লিখন না যায় খণ্ডন। চাকা ঘোরানো শিখতে গিয়েই ওই চালকের প্রেমে পড়েন খাতিজা।
কিন্তু গাড়িচালকের কোন গুণে আকৃষ্ট হয়েছিলেন খাতিজা? জানতে চাইলে খাতিজার জবাব, শেখানোর সময়ে ওই তরুণ যেভাবে গিয়ার বদলাতেন, তা দেখেই তিনি মুগ্ধ হয়ে যান। হয়ত তখন খাতিজার মনে হয়েছিল, জীবনের গিয়ার নিয়ন্ত্রণেও এই গাড়িচালকের হাত দারুণ সিদ্ধহস্ত। তাই মুগ্ধ হয়ে সেই গাড়িচালকের হাতে হাত রাখতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি খাতিজা। পরে বিয়ে করে পাকাপাকিভাবে দুজন দুজনের হাতে হাত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
সাক্ষাৎকারের সময়ে খাতিজাকে তার স্বামীকে উৎসর্গ করে একটি গান গাইতে বলা হয়। তখন স্বামীর উদ্দেশে ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড সিনেমা “ববি”র “হাম তুম এক কামরে মে ব্যান্ড হো অর ছাবি খো যায়ে” গেয়ে শোনান।