রান্না করতে ভালোবাসেন না এমন মহিলা খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর রেসিপি সংগ্রহের পাশাপাশি যদি জেনে রাখা যায় কিছু কুকিং টিপসও তাহলে আপনি হয়ে উঠবেন আক্ষরিক অর্থেই স্মার্ট গৃহিণী৷রান্নায় কখন, কীভাবে কোন টোটকা যে কাজে লেগে যাবে, তা বোধহয় অতি বড় শেফও বলতে পারবেন না। তাই আপনাদের সাহায্যার্থে রইল চটজলদিতে কাজে আসবে এরকম কিছু কুকিং টিপস। এই টিপসগুলো আপনাদের হর হামেশাই কাজে লাগবে। দেখে নিতে পারেন টিপসগুলো।
টিপস:
১) রান্নায় যদি হলুদ বেশি হয়ে যায় মানে খাবার থেকে হলুদের গন্ধ বেরায়, তাহলে ভুলেও তাতে জল মেশাবেন না।
খুন্তি আগুনে সামান্য পুড়িয়ে ওটা দিয়ে তরকারটিা নেড়ে নিন৷ গন্ধ চলে যাবে।
২) ফুলকপি কুকারে সেদ্ধ করার সময় আধ চা চামচ দই বা দুধ দিয়ে দিলে কপি গলে যাবে না।
৩) বাঁধাকপি রান্নার সময় অল্প একটু ভাপিয়ে নিলে পেটের সমস্যা হয় না।
৪) চালের কৌটোতে কয়েকটা শুকনো লঙ্কা আর ছোট্ট কাপড়ে বিটনুন বেঁধে রেখে দিলে সহজে পোকা ধরবে না।
৫) পেঁয়াজ কাটতে গেলে আমাদের সবারই চোখের জলে, নাকের জলে অবস্থা হয়।
কিন্তু জানেন কি কাটার আগে পেঁয়াজ মিনিট দশেক জলে ভিজিয়ে রেখে কাটলে আর চোখ জ্বালা করবে না।
৬) পোস্ত ছাড়া চিকেন রেজালার কথা ভাবাই যায় না৷
কিন্তু যারা পোস্ত খান না তাঁদের জন্যও রয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা।
পোস্তর বদলে দুধের মধ্যে আদা-রসুন বাটা মিশিয়ে গ্রেভি বানালে স্বাদও হবে, গ্রেভি ঘনও হবে৷
পোস্তও গ্রেভি ঘন করতেই ব্যবহার করা হয়।
৭) রান্নায় নুন বেশি হলে কী করেন আপনি?
চিনি বা জল মিশিয়ে একটু করে ফুটিয়ে স্বাদটা দেখেন।
এত কিছু করতে হবে না, স্রেফ একটুকরো কাঁচা আলুর টুকরো ফেলে দিন৷
সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
৮) কফি তেতো হয়ে গেলে ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোনও গত্যন্তর থাকে না৷
না ফেলে তাতে এক চিমটে নুন ফেলে দিন।
অতিরিক্ত তেতো ভাবটা কেটে যাবে।
৯) রান্নায় হলুদ বেশি হলে কয়েক টুকরো কাটা সুপুরি ফেলে দিলে সামঞ্জস্য ফিরে আসবে স্বাদে।