মুখে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লোম থাকা যেমন অস্বস্তিকর, তেমনি সৌন্দর্যহানির কারণও বটে। আজকালকার মেয়েরা এটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। আর তাই ছুটে যায় পার্লারে, ব্যবহার করে থ্রেডিং, ওয়াক্সিং-এর মতো যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতি। কিন্তু তাতেও কি যথেষ্ট লাভ হয়, না। কারণ এই পদ্ধতিতে মুখের অবাঞ্চিত লোম থেকে চিরতরে মুক্তি মেলে না। তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এর স্থায়ী সমাধান সম্ভব। আবার কিছু ঘরোয়া উপায়েও মুখের অবাঞ্চিত লোম দূর করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু সহজ পদ্ধতি-
চিনি–লেবুর স্ক্রাব
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। মুখের লোম দূর করা ও লোমের ঘনত্ব কমাতে লেবুর রসের জুড়ি নেই। এই স্ক্রাবের জন্য ৩ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ পানি নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
তারপর মিশ্রণটি মুখের ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করো। এরপর ভালোভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলো। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন করলে মুখের লোম দূর হবে, আবার ঘনত্বও কমবে।
ময়দা–দই প্যাক
ময়দা-দইয়ের প্যাক ত্বকের লোমের রঙের পরিবর্তন করে এবং ওঠার পরিমাণ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো। একটি বাটিতে এই সব উপাদান নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নাও। খেয়াল রাখবে মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা না হয়।
থকথকে ঘন হলে ভালো কাজে দেবে। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগাও। বিশেষ করে নাকের নিচে ও থুতনিতে এবং কপালে। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখো। তারপর পানি দিয়ে ভালো মতো ঘষে মুখ থেকে তুলে ফেলো। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন এই প্যাকটি লাগাতে হবে। কিছুদিনের মধ্যেই দেখবে অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়ে যাবে।
কফি স্ক্রাব
কফির স্ক্রাব সবচেয়ে বেশি কার্যকর। ক্যাফেইন ত্বকের গভীরে ঢুকে লোম দূর হতে সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ কফি, ১ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নাও।
এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে খানিকক্ষণ ম্যাসাজ করো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে দাও। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলো। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাবে।