বর্তমানে মাছের বাজারে মোটাতাজা গলদা চিংড়ির বেশ কদর দেখা যায়। দেদারছে বিক্রি হয় গলদা চিংড়ি। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাভারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষকে খাওয়াচ্ছে জীবননাশী বিষাক্ত জেলি।
দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে তথ্যটি। গলদা চিংড়ি বিক্রির আগে তাতে বিষাক্ত জেলি দেওয়া হচ্ছে। যা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে বলছেন ডাক্তাররা।
অনলাইন সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সাভারের বেশ কিছু এলাকায় দেখা গেছে, ইদানিং মাছের বাজারে গলদা চিংড়ির বেশ আমদানি।
অনেকটা কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে মোটাতাজা চিংড়ি। কম দামে বিক্রির কারণ জেলি দিয়ে ছোট মাছকে তড়িৎ বড় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
একজন ক্রেতা যেমন অভিযোগ করলেন, ‘চিংড়ি মাছে জেলি ইনজেক্ট করার পর তা আকারে বড় হয়ে যায়। ওজনও বেড়ে যায় কয়েকগুন। পরে রান্না করলে আবার আগের ছোট আকারই ধারণ করে। আমি বেশ কয়েকবার প্রতারিত হয়েছি এসব চিংড়ি কিনে।’
ব্যবসায়ীরা অল্প কিছু টাকা বেশি পাওয়ার জন্য এসব করছেন। কিন্তু ডাক্তাররা জানাচ্ছেন মানব দেহের জন্য কতটা ক্ষতিকারক এই জেলি।
সাভার উপজেলা প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো আমজাদুল হক বলেন, চিংড়িতে ব্যবহৃত এসকল জেলি জীবননাশী। এগুলো মানুষের চোখ, কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে। ধীরে ধীরে মানুষ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে থাকে এতে।
চিংড়িতে জেলি পুশ করার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে সাভার উপজেলার সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা ফারহানা আহমেদ বললেন, ‘আমার প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করি।
জেলি মেশানো চিংড়ি মাছ, জাটকা মাছ, রাক্ষুসে মাছসহ নিষিদ্ধ মাছ জব্দ করে বিক্রেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হচ্ছে।’