মানুষের পোষাকই তার পরিচয়। বিশেষ করে আজকালের যুগে পোশাকের উপরই বেশি লক্ষ্য দেওয়া হয়। বর্তমান সময়ে মানুষ অন্য মানুষের পোশাক দেখে তাকে বিচার করে। ভাবুন আপনি একদিন খুবই সেজেগুজে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছেন, রাস্তায় লোকজন আপনাকে ঘুরে ঘুরে দেখছে। সবাই আপনার থেকে বেশি আপনার পোশাক কেই দেখছে। তাহলে ভাবুন কেমন একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে আপনি পরতে পারেন।
কখনো কখনো আমাদের পোশাকের জন্যই আমরা খুবই লজ্জিত হয়ে পরি এবং সবার কাছে আমরা একজন হাসির পাত্র হয়ে যাই। চলে আসুন আজকে দেখি এমনই কিছু পোশাকের ডিজাইন যেগুলো দেখে আপনি আপনার হাসি থামাতে পারবেন না।
এইবার এই পোশাকগুলোকে আপনি কোন নজরে দেখেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করে আপনি নিজেই দেখবেন পোশাকগুলি আপনাকে সেরকমই মনে হবে। চলে আসুন দেখি সেই অদ্ভুত কিছু পোশাক যেগুলো দেখলে আপনি আপনার হাসি থামাতে পারবেন না।
পোশাকের পিছনের ডিজাইন টি দেখতে ভুলে গেছেন এই মহিলাটি –
মনে হয় এই মহিলাটি এই পোশাকটি কেনার সময় পোশাকের পিছনের ডিজাইন দেখতে ভুলে গেছেন। যার জন্য উনি সবার কাছে হাসির পাত্রী হয়ে উঠেছেন।
এটা তো কিছুই নয় –
এই মহিলাটি এই প্যান্ট টি পরে যেমন ফটো তুলছেন তেমনি প্যান্ট টি কেনার সময় তার প্রিন্ট টি কি দেখে কিনতে পারেননি। তাহলে হয়তো সবার কাছে উনি হাসির পাত্রী হতেন না।
হয়তো ভুল প্রিন্ট বা হয়তো ভুল সময় –
বিদেশে সমুদ্র সৈকতে পার্টি করা একটা সাধারন ব্যাপার কিন্তু পার্টি করার সময় আপনাকে অনেক কিছু জিনিসের ওপর লক্ষ্য রাখতে হয়। তাই না ?
এই তিনজন মহিলা দাঁড়িয়ে আছে তার মধ্যে মাঝখানের মহিলাটির পোশাকটির উপর যদি আপনি নজর দেন তাহলে দেখতে পাবেন পোশাকটি খুবই জঘন্য মনে হচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে এই মেয়েটির আকস্মিক পিরিয়ড হয়েছে। কিন্তু তা নয় এই পোশাকটির প্রিন্ট টি এমন।
সুসসসসস!! কেউ আছে –
এই ব্যক্তিটিকে রাত্রিবেলা কেউ দেখলেই ভয় পেয়ে যাবেন। কারণ লক্ষ্য করে দেখুন ওনার শার্টের ভেতর এমন একটি প্রিন্ট করা যেন মনে হচ্ছে ওনার শার্টের ভেতর থেকে কেউ উঁকি মারছে।
কিসের প্রয়োজন এমন প্রিন্টের –
এই পোশাকের উপর এইরকম প্রিন্টের কি প্রয়োজন আছে আপনি বলুন। কারণ দেখুন এই রকম জায়গায় এরকম প্রিন্ট কেউ দেখবেন না আর দেখলেও সেটি খুবই হাস্যকর মনে হবে।
এটি কোথায় পরে –
এই পোষাক দেখে যে কেউ হতভম্ব হয়ে পড়বেন। কারণ এটি কোথায় পরা হয়? পা না গায়ে সেটাই বোঝা মুশকিল। এমনকি এই সমস্ত পোশাকের নাম কি সেটাই হয়তো অনেকে জানেন না।
একেও ছাড়িনি –
এদিকে দেখুন, ইনি তো বাচ্চার পোশাকটিও ছাড়িনি। বাচ্চাদের পোশাকেও এই রকম জঘন্য প্রিন্ট করার কোন মানেই হয়না। কিন্তু এখানে বাচ্চার পোশাকে এরকম জঘন্য প্রিন্ট করে এটি হাস্যকর নয় বরং একটি জঘন্যতম কাজের পরিচয় রেখেছে।
সেই একই জিনিস –
যেমনভাবে এখানে পোস দিয়ে ফটো তুলছেন তেমনভাবে কি এই পোশাকটি কেনার সময় চোখ খুলে পোশাকটি কিনতে পারেননি।
ভুল জায়গা –
এই পোশাকটি ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন বাদরটি নিজের মুখ হাত দিয়ে ঢেকে, সেটি ঠিক আছে কিন্তু জিভের আকৃতির প্রিন্টটি ভুল জায়গায় করা হয়েছে।
কি চান আপনি –
কিছু কিছু পোশাক শুধু প্রিন্টের জন্য নয় কিছু আজব টাইপের লেখার জন্য চোখে পড়ে। যেমনি পোশাকটি দেখুন কেমন একটি আজব মেসেজ লেখা আছে। যে এই পোশাকটি বানিয়েছেন তিনি কি বলতে চাইছেন, যে নিজের উপর বিশ্বাস করুন নাকি বিশ্বাস করবেন না।
কেমন আজব রকমের এই পোশাকটি –
এই পোশাকটি যিনি বানিয়েছেন তিনি হয়তো ভুলে গেছেন যে মানুষের হাত এত বড় হয় না। এইখানে পোশাকটি দেখুন এখানে শার্ট এর হাতা টি মানুষের শরীরের চেয়ে বড়। আরে মশাই যদি এরকমই পোশাক বানানোর সখ থাকে তাহলে নিজেকে আয়নায় দেখে নিন যে আপনার হাতটি কি এতটাই বড় নিজের শরীরের তুলনায়। সেই অনুযায়ী পোশাক বানান।
মাঝখানে গোল্লা –
এই নীল রংয়ের ওপর প্রিন্টগুলি খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে কিন্তু মাঝখানে হঠাৎ ঐ বড় গোলাকার আকৃতিটি দেওয়ার মানে কি হয় সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। যে পোশাকটি এত সুন্দর হওয়ার জন্য খুবই খারাপ দেখাচ্ছে।
পিছনে দেখবেন না –
এই মহিলাটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটি মহিলাটিকে লক্ষ্য করছেন কিন্তু ভগবানের কৃপায় উনি ওনার পিছনের পোশাকটির আকৃতি টি লক্ষ্য করেনি, নাহলে উনিও বাকিদের মতো হেসে লুটোপুটি খেতেন।
আরে কোথায় উকি মারছেন –
যাদের কাটুন খুব পছন্দ তার হয়তো এই প্যান্ট টি খুবই পছন্দ হবে।
ফুলটি খুবই সুন্দর কিন্তু –
ফুলের প্রিন্ট খুবই ভালো লাগে যেকোন পোশাকে। কিন্তু এখানে আবার সেই একই ভুল করা হয়েছে। ফুলটির প্রিন্ট ভুল জায়গায় করা হয়েছে এবং যার জন্য এটি খুবই হাস্যকর লাগছে, হা হা হা …
থাক আর কিছু নয় –
এতকিছু বলার পর আর আমার কাছে কিছুই নেই বলার। এই আজব পোশাক টি দেখে কি আর বলা যেতে পারে বলুন। দেখে নিজের মাথা খারাপ করা ছাড়া কিছু করতে পারবেন না।